চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বাগানের গাছ কাটা নিয়ে দুপক্ষের পাল্টা- পাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ততক্ষণাৎ গাছ কাটা বন্ধ করে দেয় এবং গাটা গাছের টুকরো গুলো জব্দ করে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির জিম্মায় রাখা হয়। এবিষয়ে দু'পক্ষকে বসে বিষয়টি সমাধানের পরামর্শ দেন পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রামের পূর্ব বৈলগাঁ এলাকায় এঘটনা ঘটে।
বোরহান উদ্দিন নামে এক লোক বলেন, মুক্তিযুদ্ধো আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন বাগান থেকে স্থান মিজান এবং কামাল উদ্দীনের নেতৃত্ব শতাধিক গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে।
অপরদিক কামাল উদ্দীন উল্টো অভিযোগ করে বলেন, বোরহান যে বক্তব্যটি দিয়েছে তা ভিত্তিহীন,
এমনকি মিজানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তাও ভিত্তিহীন, এখানে মিজানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মুলত গাছ বাগানটি আমাদের, আব্দুল মান্নান নয়, আমাদের প্রয়োজনে বাগান থেকে গাছ কেটেছি। একইভাবে মিজান বলেন, বাগানটি কামালদের মালিকানাধীন গাছ বাগান, আমিতো কোনো গাছ কাটিনাই,কামাল নিজেই তার বাগান থেকে গাছ কাটতেছে। কিন্তু বোরহান নামের লোকটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করতেছে। মুলত বাগান মালিক কামাল উদ্দীন যখন গাছ কাটতে গেছে তখন স্থানীয় কিছু লোক তার কাছ থেকে চাঁদাদাবি করে, এতে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ার কারণে ভুক্তভোগী কামাল উদ্দীনকে গাছ কাটতে বাঁধা দিচ্ছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে ৩টি গাছ কাটা গাছের গোড়া গেছে এবং কাটা গাছের টুকরো গুলো পুলিশ জব্দ করে একটি নির্দিষ্ট জায়গাতে স্তুপকরে আবু ছিদ্দিক নামের এক লোকের জিম্মায় রাখতে দেখা যায়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন লোক বলেন, জায়গাটি বিগত ২০-২৫ বছর যাবত কামাল উদ্দীনের ভোগ দখলে থেকে গাছ বাগান করেছে, এখন প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে গাছ কাটতে বাঁধা দিচ্ছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়ে কাটা গাছ গুলো জব্দ করে স্থানীয় আবু ছিদ্দিকের জিম্মায় রেখেছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
এবিষয়ে রামদাস মুন্সি হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই আবুল বলেন, গাছ কাটার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, গাছ কাটা করে দেয়া হয়েছে, কাটা গাছ গুলো স্থানীয় আবু ছিদ্দিক নামের এক লোকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। দু'পক্ষকে বসে বিরোধ মীমাংসা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।