মোহাম্মদ এরশাদ বাঁশখালী চট্টগ্রাম: বাঁশখালীতে স্ত্রী কু- প্রস্তাবে রাজি না হওয়া স্বামীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বখাটে মামুন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।শুক্রবার (২৯ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের রামদাস মুন্সি হাটস্থ ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।গুরুতর আহত মোঃ আবুল হাশেম (৪১)একই ইউনিয়নের জঙ্গল গুনাগরী ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত আছরজ্জমানের পুত্র।স্থানীয় এবং ভুক্তভোগী আবুল হাশেম ও স্ত্রী হামিদা বেগম সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের রামদাস মুন্সি হাটস্থ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আবুল হাশেম ও তার স্ত্রী হামিদা বেগম বসবাস করতেন।একই কলোনিতে সরল ইউনিয়ন ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার কবির আহমদের ছেলে মামুম (৪৩)নামের এক সিএনজি চালক ও স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন।তবে হাশেম ও মামুন দুইজন আপন মামাতো ফুফাতো ভাই হওয়ায় একে-অপরের গভীর সম্পর্ক ছিল দুইজনের মধ্যে।সেই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে আবুল হাশেমের স্ত্রী হামিদা বেগমের উপর কুনজর পড়ে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে কৌশলে মামুন হাশেমের স্ত্রীর মোবাইল ফোন ছেয়ে বসলে আত্মীয় অপরদিকে ভাই শশুর হিসেবে ফোন নম্বরটি দেয় হামিদা বেগম।পরে দেওয়া ফোন নম্বরটি থেকে ফোন করে মামুন হাশেমের স্ত্রী হামিদা বেগমকে কু প্রস্তাব দিয়ে বসে।এভাবে হামিদা বেগমকে প্রতিনিয়ত প্রেমের
প্রস্তাব দিতে থাকলে তা প্রত্যাখান করে হামিদা বেগম।দিনদিন ওই প্রস্তাব বাড়তে থাকে অপরদিকে সিএনজি চালক স্বামী প্রতিদিন গাড়ি নিয়ে বের হলে বাসায় আসতে রাত হয়।সেই সুযোগে মামুন বাসায় ঢুকে আবুল হাশেমের স্ত্রীর সাথে হাতাহাতি হাতি করলে।পরে নিজেকে রক্ষা করতে কোন উপায় না দেখে শেষমেষ আবুল হাশেমের গার্মেন্টসে চাকরিজীবী স্ত্রী ভাড়া বাসায় সব মালামাল রেখে বাপের বাড়ি চলে যান।সেখান থেকে নিয়মিত অফিস করতে থাকে আবুল হাশেমের স্ত্রী হামিদা বেগম।এদিকে স্বামী আবুল হাশেম মনে মনে বলে স্ত্রী হয়তো বাপের বাড়ি বেড়াতে গেছে।এভাবে কয় একদিন অতিবাহিত হলেও যখন স্ত্রী বাসায় আসতেছে না কেনো ফোন করে বাসায় চলে আসতে বললে স্ত্রী বলে উঠে আমি ওই বাসায় থাকবো না।ওই বাসা ছেড়ে দাও এখানে একলা থাকতে আমার ভয় করে।পরে বিস্তারিত বিষয় স্ত্রী হামিদা বেগম স্বামীকে খুলে বললে ভাড়া বাসা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।এদিকে গত ২৭ আগষ্ট বিকাল ৪ টায় দিকে বাসার সামনে দেখতে পেয়ে মামুন আবুল হাশেমকে বলে বাসা ছেড়ে দিবে বলছ মালামাল নিয়ে যাচ্ছ না কেনো বললে আবুল হাশেম বলেন এখনো মাস শেষ হতে আরও সময় আছে আগামী শুক্রবার নিয়ে যাবো বলেন। যখন ভাড়া বাসা থেকে মালামাল নিয়ে যেতে আবুল হাশেম মালামাল বাহির করে কিছু মালামাল সিএনজিতে কিছু মালামাল বাসা থেকে বাহির করে সামনে রাখলে হঠাৎ মামুন এসে আবুল হাশমেকে বলে মালামাল নিতে কে বলেছে।আবুল হাশেম বলে আমার মালামাল আমি নিয়ে যাচ্ছি সমস্যা কোথায় বলার শুরুতে জামার কলার ধরে টেনে রুমের ভিতরে নিয়ে গিয়ে লাটি পরে লোহার লট দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।পা- ভেঙে ফেললে আবুল হাশেমের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি বকাটে মামুনকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি প্রদানে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বাঁশখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক তদন্ত সুধাংশ শেখর হাওলাদার বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।