সাবেক দুই এমপি'র ঘ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পদুয়া এ.সি.এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পতিত সরকারের সাবেক এমপি আবুরেজা নদভী এবং আবদুর রহমান বদি'র ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি। এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে এলাকায় শুরু হয় নানান ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। তাকে ঘিরে বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
অনেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে এনামুল হকের ওই ছবি জুড়ে ফেসবুকে নানা মন্তব্য করছেন। এদিকে, এনামুল হকের সভাপতির পদ বাতিলের জন্য জসিম উদ্দিন নামের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার এক বিএনপি নেতা জেলা প্রশাসক, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগসূত্রে জানা যায়, সাবেক সভাপতি আবুল কালামের মৃত্যুজনিত কারণে শূন্যপদে গত বৃহস্পতিবার এনামুল হককে এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি পতিত সরকারের সাবেক টেকনাফের এমপি ইয়াবা সম্রাট আবদুর রহমান বদি, সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী, আবদুল মোতালেব ও কক্সবাজারের সাবেক এমপি ছরওয়ার কমল ও লোহাগাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন বলে অভিযোগ সুত্রে জানা যায়। অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায় তিনি উপরোক্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে ভোটকেন্দ্র দখলসহ যাবতীয় অপরাধের সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন। এভাবে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল বলেও অভিযোগসূত্রে জানা গেছে। অভিযোগকারী জসিম উদ্দীন বলেন, এ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি এনামুল হক আওয়ামী লীগের দোসর। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলের যোগসাজশে এ অভিযুক্তকে দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর এ কারণে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি ।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দনের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত সভাপতি এনামুল হক বলেন, আমাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হেয় করার জন্য মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। আমি কখনো নিরীহ মানুষের ক্ষতি করিনি। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই আমি কাজ করতে চাই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, এ সংক্রান্ত বেশকিছু অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।